আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই এবং নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা দলের ব্যাপারে বলেছেন, ‘এটা ওবায়দুল কাদেরের সংসার। ওনার সংসার উনি কাকে দিয়ে চালাবেন, তা শুধু উনি জানেন। আমি ইতিমধ্যে দল থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি এটা থেকে সরব না।’
শুক্রবার ভোরে নিজের অনুসারী স্বপন মাহমুদের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের মির্জা বলেন,‘আমি বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সদস্য হিসেবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করব এবং আওয়ামী লীগের যারা ত্যাগী, তাদের পাশে থাকব। ভবিষ্যতে আমি কোনো নির্বাচনে যাব না। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমি নির্বাচন থেকে সরে যেতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর কোনো পদেও আমি যাব না। আমি চাই পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কাজ করতে। আমি যত দিন দায়িত্বে আছি, তত দিন যেন পরবর্তী প্রজন্ম কোম্পানীগঞ্জে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে এবং তারা যেন কোম্পানীগঞ্জের সুনাম বয়ে আনতে পারে। এ জন্য আমার পক্ষ থেকে যেসব সহযোগিতা করা প্রয়োজন আমি সব ধরনের সহযোগিতা করব।’
তিনি বলেন, কোম্পানীগঞ্জের মানুষ স্বস্তিতে বসবাস করতে চায়। আমার কোম্পানীগঞ্জের মানুষ মুক্ত আকাশে নিঃশ্বাস ফেলে এখানে বেঁচে থাকতে চায়। কোম্পানীগঞ্জের মানুষ চাঁদাবাজমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, মাদকমুক্ত, দখলদারমুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত কোম্পানীগঞ্জ প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
কাদের মির্জা বলেন, `জনগণের চাহিদার প্রতি সম্মান দেখিয়ে, আমি সবার প্রতি বিনীত আহ্বান জানাব, আর হানাহানি নয়, আর রক্তপাত নয়, আমি আমার প্রিয় কোম্পানীগঞ্জকে একটা মডেল উপজেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
ভাগ্নে সাবেক ছাত্রনেতা মাহবুব রশিদ মঞ্জুর কথার জবাবে কাদের মির্জা বলেন, ‘তার সব কথা বানোয়াট। আমি তাকে ছাত্ররাজনীতিতে এনেছি। তার বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ পাওয়ার পর আমি দল থেকে তাকে বের করে দিয়েছি।’
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে ওবায়দুল কাদেরের ভাগ্নে মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু ফেসবুক লাইভে এসে ওবায়দুল কাদেরকে দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করার আহবান জানান।
মঞ্জু বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জে যে দুটি হত্যাকাণ্ড হয়েছে সেজন্য আজ পর্যন্ত আপনি আপনার ভাইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি। তার মানে হচ্ছে এ হত্যার দায় আপনিও এড়াতে পারেন না। আপনার এসব ডুয়েল স্ট্যান্টবাজি বন্ধ করেন। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হলে আপনি পদত্যাগ করেন।’